বর্ষা মৌসুমেও নেই পানি, পাট জাগ নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:১৩
photo

বর্ষা মৌসুমেও নেই পর্যাপ্ত পানি। খাল-বিল, পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেছে। এতে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কৃষকেরা।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার সদর, কোলকোন্দ, গজঘন্টা, মর্ণেয়া, নোহালী, লক্ষীটারী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই পাট কেটে জমির পাশে ফেলে রেখেছেন, কেউ কেউ আবার দূরদূরান্তের নদী বা পুকুরে নিয়ে জাগ দিচ্ছেন।

 

এতে অতিরিক্ত সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে চাষিদের।
বড়বিল ইউনিয়নের দক্ষিণ পানাপুকুর এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল (৪৫) বলেন, ‘আগে যে ডোবার পানি থাকত, এখন তা একদম শুকিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে অন্যের পুকুরে জায়গা ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিয়েছি।

 

কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামে পাটচাষি আলতাফ (৫০) বলেন, ‘কয়েকদিন আগে দুই বিঘা জমির পাট কেটেছি। কিন্তু জাগ দেওয়ার মতো পানি নাই। রোদে পাট শুকায়া যাচ্ছে, এবার মনে হয় ক্ষতি হবেই।’

 

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি বছর গঙ্গাচড়া উপজেলায় ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে।

এর মধ্যে তোশা জাতের ২ হাজার হেক্টর এবং দেশি জাতের পাট ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এখনও অধিকাংশ জলাশয় শূন্য। ফলে জাগ দেওয়ার মতো উপযুক্ত জায়গা তৈরি হয়নি। এতে পাটের আঁশ সঠিকভাবে ছাড়ানো যাচ্ছে না, যা বাজারে কমদামে বিক্রি হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কৃষকের কষ্ট হচ্ছে।

 

আমরা চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি (১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়)। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে পাটের আঁশের মান ভালো থাকে।’

 

শেয়ার করুন