মিষ্টি কুমড়ার বিচি কতটা উপকারী জানেন?

মিষ্টি কুমড়ার বিচি স্বাস্থ্যকর এবং এতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। এটি খেলে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচিতে প্রায় ৫৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়।
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০২:০০
photo

মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

 

নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ওজন কমায়, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যদি ঘুমের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভোগেন তবে কুমড়ার বিচিকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ কুমড়ার বিচিতে আছে সেরোটোনিন। এ উপাদান ঘুম এনে দিতে পারে নিমিষেই।


জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১. পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ: মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন (যেমন ভিটামিন ই), এবং মিনারেল (যেমন ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা এবং লৌহ) রয়েছে।

২. হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে: এর মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

৩. ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে: মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে থাকা দস্তা (জিঙ্ক) ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪. হাড় মজবুত করে: ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।

৬. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলী: এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ই এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমায়।

৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: মিষ্টি কুমড়ার বিচির গ্লাইকেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

৮. কোলেস্টেরল কমায়: এর মধ্যে থাকা ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো।

৯. ওজন কমাতে সহায়ক: ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়ক।

মিষ্টি কুমড়ার বিচি কাঁচা, ভাজা বা সালাদেও যোগ করে খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে ক্যালোরি বেশি। দৈনিক ১-২ টেবিল চামচ খাওয়া যথেষ্ট।

শেয়ার করুন