অফিস ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় সংলগ্ন ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোয়েল ওই এলাকার সাবিরুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় একজন দিনমজুর।
পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই সুলতান আলী (৩৬) ও স্থানীয় সাইদার রহমান (৪৩)-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, সোয়েলের গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে বাড়ির পাশের বেগুনক্ষেতে বড় ভাই সুলতান মোবাইল ফোনে ছোট ভাই সোয়েলকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকালে ডোবায় মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে কয়েকদিন আগে জমির আইল কাটা ও মাছ ধরা নিয়ে চাচা এনামুল হক ও কবিরাজ পরিবারের সঙ্গে সোয়েলের বিরোধ হয়। এছাড়া জমি নিয়ে সংঘর্ষের একটি মামলায় তার নামে ওয়ারেন্ট ছিল বলে জানা গেছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এর মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জমি নিয়ে চাচার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তারপরও বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’