অফিস ডেস্ক
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বাবুল হোসেন শিবগঞ্জ উপজেলার জালমাছমারী এলাকার মৃত ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বড়চক এলাকার গুমানের ছেলে আসাদুল নিহত বাবুলের ভাই মোয়াজ্জেম হোসেনের বিকাশের দোকান থেকে ২ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে। এর দুই ঘণ্টা পর আবারো দোকানে এসে ১০০ টাকার একটা ছেঁড়া নোট রয়েছে বলে ফেরত নেয়ার দাবি জানালে দুইজনের বাকবিতণ্ডা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ১০-১৫ জন লোক নিয়ে দোকানে হামলা চালায় আসাদুল। ভাইকে বাঁচাতে গেলে হামলার শিকার হন পাশের মুদি দোকানদার বাবুল হোসেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে বাবুল হোসেনকে বাসায় নিয়ে যায় স্বজনরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহিনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহত বাবুল হোসেনের ভাই নজরুল ইসলামের। তিনি বলেন, ‘সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মশিউর রহমান মানিক জানান, ‘রক্তশূন্যতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় নিহত বাবুল হোসেন। তার কিছুক্ষণ পর পরীক্ষা নিরীক্ষার এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। রক্তশূন্যতার কারণে মৃত্যু বলে প্রাথমিক ধারণা চিকিৎসকদের।’
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’