অফিস ডেস্ক
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাস্ট্রার একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার খবরে হুলস্থুল পড়ে যায়। উড্ডয়নের আগমুহূর্তে কন্ট্রোল টাওয়ারে আসা একটি ফোন কলে এই হুমকি দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
হুমকির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সমন্বিত অভিযানে দ্রুততার সঙ্গে বিমানটি ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়, যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল তাদের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করে।
তবে এটি কোনো বাস্তবিক আতঙ্ক ছিল না, ছিল ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত একটি শ্বাসরুদ্ধকর নিরাপত্তা মহড়া।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সৈয়দপুর বিমানবন্দরে হাইজ্যাক, বোমা হামলা বা যেকোনো অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত প্রস্তুতি যাচাই করতেই এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের অনসীন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এ.কে.এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এই মহড়া আয়োজন বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় তৈরি হয় এবং যেকোনো বাস্তব পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।'
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও)-এর এনেক্স-১৭ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরনের মহড়া আয়োজন বাধ্যতামূলক।
মহড়া পরিদর্শনের পাশাপাশি বেবিচক চেয়ারম্যান সৈয়দপুর বিমানবন্দরের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভারলে-এর ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং নতুন অ্যাপ্রোন (টারমাক) নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১২ হাজার ফুট পেরিমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরো জোরদার হয়েছে।
মহড়ায় বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহ্বুব খানসহ সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।