তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হলো ৪৪ জলকপাট

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫ | সময়ঃ ১১:১০
photo

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামালীর ডিমলার নদীবেষ্টিত চর ও চরের গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি ঢুকে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত 

 

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বর্তমানে বিপৎসীমা থেকে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপট খুলে দেয়া হয়েছে। বর্তমানেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।


ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলোতে ইতিমধ্যে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে আরও পানি বাড়তে পারে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপট খুলে দেয়া হয়েছে। সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’


আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বেড়ে কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর বাদাম ক্ষেত

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাগড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি,পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী,গড়াবাাড়ী, ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, শেলৈমারী ও কৈইমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এসব এলাকার মানুষজন বন্যার আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

 

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ কয়েকটি চর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে গেছে। ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ হচ্ছে।

 

তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। নদীবেষ্টিত চর ও চরের গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছেন।’

 

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সারাদিন পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সারা দিন  ৪ ,৫ ,৬,৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তিস্তার পানি প্রবাহিত হয়। তবে মধ্যরাতে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। উজানের পানি আরও বাড়তে থাকায় আমরা সব স্লুইসগেট খুলে দিয়েছি।’

শেয়ার করুন