ফিরে দেখা ২০২৪- ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলন: ৬ আগস্ট কী ঘটেছিল?

ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে সরকার পতনের পর সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষকদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনী প্রধানের বৈঠকেই চূড়ান্ত হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসই হবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫ | সময়ঃ ০১:২০
photo

দীর্ঘ এক রক্তাক্ত জুলাই পেরিয়ে ক্যালেন্ডারের পাতা তখন ফিরেছে আগস্টে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পতনের পর বিজয়োল্লাসে মাতোয়ারা গোটা জাতি। তখন সামনের দিনে কে বা কারা ধরবেন রাষ্ট্রের হাল, এমন প্রশ্ন তখন জনমনে।


এমন অবস্থায় ঘোষণা আসে রাষ্ট্র চালাবে অন্তর্বর্তী সরকার। ৬ আগস্ট ভোরে ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এ সরকারের রূপরেখা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিকে শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও। এর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।

৬ আগস্ট সন্ধ্যায় দেশের পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে যান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। তাদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান।


দীর্ঘ বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম জানান, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করেই গঠন করা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গবেষক ফরহাদ মজহার বলেন, অনেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়েছেন, আবার অনেকে চাননি। এটা হয়ত সাংবাদিকরা জানেন। এজন্য পাল্টা জনসংযোগ করে বোঝানো হয়েছে যে, তাকে এই মুহূর্তে দরকার, সেটা যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়েছে। গণ ঐক্য তো ছিলই, জনগণ তো ঐক্যের মধ্যে থেকেই শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছে।  

গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের ৭২ ঘণ্টা পর দায়িত্ব নেয় নতুন সরকার।

শেয়ার করুন