বিপাকে কুড়িগ্রামের চাষিরা

চলতি বছর পাটের আবাদ করে চরম বিপাকে কুড়িগ্রামের কৃষকেরা। বৃষ্টির অভাবে জাগ দেয়ার জায়গা না থাকায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে অনেকের পাট। তবে বিকল্প উপায়ে পাট জাগ দেয়ার কথা ভাবছে কৃষি বিভাগ।
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫ | সময়ঃ ০৩:৫৫
photo

নিকটবর্তী খালবিলে পানি না থাকায় ঘোড়ার গাড়িতে পাট বহন করে দূরবর্তী নীচু এলাকার নিয়ে যেতে হচ্ছে কৃষকদের। আবার বৃষ্টির আশায় ক্ষেতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে অনেক পাট। মূলত শ্রাবনের মাঝামাঝি সময়ও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা না মেলায় পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কুড়িগ্রামের কৃষকেরা।

 

আবার আমন মৌসুম শুরু হওয়ায় ক্ষেতেও রাখতে পারছেন না পাট। এতে অর্থকরী ফসলটি আবাদ করে চরম ভোগান্তিতে তারা। চাষিরা বলেন, তীব্র গরমে পাট কাটা যাচ্ছে না। এছাড়া পানির অভাবে পাট জাগ দিতেও খরচ বাড়ছে।


চলতি বছর পাটের ফলন ভালো হওয়ায় বেশি লাভের আশা ছিল চাষিদের। কিন্তু এখন ক্ষতির মুখে তারা। চাষিরা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সোনালি আঁশের আবাদ ছেড়ে দেয়ার কথাও ভাবছেন অনেকেই।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আষাঢ়-শ্রাবণেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুকিয়ে আছে খাল-বিল। বিকল্প উপায়ে পাট জাগ দেয়ার বিষয়টি ভাবছে কৃষি বিভাগ। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃষ্টিপাত হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। তবে বৃষ্টি না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে হবে। সে বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর জেলায় ১৭ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও চলতি বছর হয়েছে ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে।

শেয়ার করুন