অফিস ডেস্ক
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হায়াতপুর পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোদাগাড়ীর দেলশাদপুর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের তিন ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৬০), মফিজুল ইসলাম (৫০), সাদ্দাম হোসেন (৩৭), আশরাফুল ইসলামের দুই ছেলে আকবর আলী (২৮), বাবর আলী (১৯) এবং মফিজুল ইসলামের দুই ছেলে মো. হানিফ (২৯) ও রমজান আলী (২০)।
আজ বুধবার সকালে রাজশাহী র্যাব-৫–এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার আইহাই গ্রামের সাগরাম মোড়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুল ইসলাম (৪৭) গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের প্রয়াত তসলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি জমি কেনাবেচার কাজও করতেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রেবিনা খাতুন বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। র্যাব তাঁদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব জানিয়েছে, জমিসংক্রান্ত একটি কাজ করে সোমবার রাত নয়টার দিকে মনিরুল ইসলাম মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সাগরাম মোড়ে পৌঁছান। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি, লোহার রডসহ মনিরুলকে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আসামিরা। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁরা দেশি অস্ত্র দিয়ে মনিরুলের মাথায়, হাতে ও পিঠে, বুকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যান তাঁরা। পরে মনিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, এই ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় আসামিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের আনতে পুলিশের একটি দল দিনাজপুরে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের এনে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।