রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ল প্রায় ৪গুণ

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫ | সময়ঃ ০৮:৫৩
photo

রংপুর বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪গুণ। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেগুন ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মুরগি, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম।

 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকালে রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ ৪০-৫০ টাকা থেকে লাফিয়ে ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৯০-১০০টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৮০-৯০ টাকা, গাজর ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকা, ঝিংগা ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকার ভেদে) ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা হালি, সজনে ১৪০-১৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজারে আলু বিক্রেতা জাফর মিয়া জানান, কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা সুমন মিয়া, বাবলুর রহমান, আলালউদ্দিনসহ অনেকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক সবজির দাম কমেছে।

তবে কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আমদানি কম থাকায় আর গাছে ফলন কম হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

 

পটলের দাম কমে ৩০-৩৫, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৬০ টাকা, লাউ (আকার ভেদে) ২৫-৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা, কচুমুখী ৪৫-৫০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, পেঁয়াজ আগের মতোই ৫০-৫৫ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে গুটি স্বর্ণা (মোটা চাল) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৭০-৭৫ টাকা, জিরাশাইল, ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মুরগি বাজার, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছ বাজার, আকার ভেদে রুইমাছ ২৮০-৩৫০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাস ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

খুচরা পর্যায়ে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১১৫-১২০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
 

শেয়ার করুন