অফিস ডেস্ক
দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ চার মাস পর আবারও শুরু হয়েছে রপ্তানি কার্যক্রম। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯১ টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য দাড়ায় ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি মূলত আমদানিনির্ভর বন্দর হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে রপ্তানি কার্যক্রম। বর্তমানে রাইস ব্রান (তুষের তেল), টোস্ট বিস্কুট, ম্যাংগো জুস, নুডুলস, ঝুট কাপড়সহ নানা ধরনের বেকারি ও খাদ্যপণ্য ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় হিলি বন্দরের হাজারো শ্রমিক আবার কাজের সুযোগ পাচ্ছে। বন্দরের পণ্য ওঠানামা, ট্রাক লোড-আনলোডসহ নানা কাজে প্রতিদিন শত শত শ্রমিক ব্যস্ত সময় পার করছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো দ্রুত সমাধান হলে এখান থেকে রপ্তানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দরের শ্রমিকরা আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে কাস্টমসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকারের প্রচেষ্টায় রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে। গত দুই মাসেই বন্দরে রপ্তানি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা।
দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর হিলি শুধু আমদানি নয়, রপ্তানিতেও বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে। এখানে পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেলে প্রতিবেশী ভারতসহ অন্যান্য দেশের বাজারেও বড় আকারে প্রবেশ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।a