অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৯:৩২
রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ করে সিটি কর্পোরেশনে নির্যাতন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা, মব তৈরি করে সাংবাদিকদের মারধর ও হেনস্থা মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। সেখান থেকে অপহরণ ও হামলাকারীদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন তারা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে রংপুর সাংবাদি ইউনিয়ন- আরপিইউজে, প্রেস ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনসহ দুই শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।
তারা অভিযোগ করেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ উপস্থাপন করে মামলা দেয়া হয়েছে। মাত্র ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ দিয়ে শেয়ার করছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মামলা করার চেষ্টা করছে। সিটি করপোরেশন মাত্র ৩ জনকে আইওয়াশ বদলি করে দায় সেরেছে। এটা উদ্বেগজনক।
পরে সাংবাদিকদের ঘেরাও কর্মসূচিতে আসেন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী। ঘেরাও কর্মসূচি থেকে তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় আসামীদের গ্রেফতারে। তা করা নাহলে ধারাবাহিক আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদলকে তাঁর করা একটি প্রতিবেদনের জেরে গেল ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে নগরীর কাচারীবাজার থেকে ‘জুলাই যোদ্ধার পরিচয়ে রকি নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী অপহরণ করে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিউজ করার জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে বলে অটোরিকশায় অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তারা সাংবাদিক বাদলকে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তাকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে নির্যাতন করতে করতে নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে নিয়ে নির্যাতন ও গালিগালাজ করতে থাকে। সাংবাদিকরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে সাংবাদিকরা চলে আসার জন্য তৈরি হলে সেখানে সিটি করপোরেশনের চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রধান ফটক আটকে দিয়ে আবার নির্যাতন করেন।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার জেরে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স শাখার প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির শান্ত এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তন্ময়কে বদলি করা হয়েছে।
© North Bangla News ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।