অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ১১:০২
নিহত চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত আসাদকে নিয়ে শহরের মাদ্রাসামোড়ে জনসেবা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।
আসাদ বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আকন্দের ছেলে। তাকে সোমবার রাতে নাটোর শহর থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, আসাদ জনসেবা হাসপাতালের মালিক ডা. আমিরুল ইসলামের পিএ ছিলেন। একই হাসপাতালের এক নারী কর্মীর সঙ্গে আসাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই নারীকে পছন্দ করতেন ডা. আমিরুলও। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে ২৫ আগস্ট ডা. আমিরুল আসাদ ও নারী কর্মীকে মারধর করেন এবং পরে আসাদকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।
এর প্রতিশোধ নিতে গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় আসাদ বোরকা পরে হাসপাতালে প্রবেশ করে। রাতে রেস্ট রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। ভোর ৪টার দিকে সে ডা. আমিরুল ইসলামের গোপনাঙ্গ কেটে তাকে হত্যা করে। পরে সকাল ৬টার দিকে বোরকা পরে হাসপাতাল ত্যাগ করে।
পরদিন সকাল থেকে কর্মচারীরা ডাক্তারকে ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। দুপুরে দরজা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আসাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
© North Bangla News ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।