আমদানি হলেও শুল্কে থেমে গেছে চাল খালাসের চাকা!


খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে পড়ে আছে ট্রাকভর্তি আমদানি করা চাল। ছবি: সংগৃহীত 

 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকের প্রতিনিধি সুমন জানান, ‘দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়ায় আমদানি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শুল্ক জটিলতায় তা ছাড় করতে না পারায় তারা চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন। প্রতিদিন কাস্টমসে গিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হলেও সমাধান মিলছে না।’


চাল বন্দর থেকে কেন খালাস হচ্ছে না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বলেন, ‘ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর পর গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। তবে আমদানি হলেও চার দিনেও ব্যবসায়ীরা খালাস করছেন না।’

কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘কাস্টমসের সার্ভারে বর্তমানে চালের আমদানি শুল্ক ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ দেখাচ্ছে। এই শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করলে কেজি প্রতি প্রায় ৪০ টাকা ডিউটি দিতে হবে। ফলে প্রতি কেজি চালের আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৯৫ টাকার ওপরে। এমতাবস্থায় চাল খালাস করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমদানিকারকদের।’

এদিকে শুল্ক কমানো বা পরিবর্তনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ভারতীয় ৬১ ট্রাকে ২ হাজার ৬৮১ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট খালাসের বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি জমা দেননি। যদি কোনো আমদানিকারক বা সিএন্ডএফ এজেন্ট চাল ছাড় করতে চান, তবে তাদের সার্ভারে প্রদর্শিত ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করতে হবে।’

এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চাল আমদানি শুরু হলেও তা ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস পর গত ১২ আগস্ট থেকে আবারও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।


প্রকাশকঃ রোকমুনুর জামান রনি

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মাসুদ রানা

ফোনঃ ০১৭২২১৫৮১৩০

যোগাযোগঃ পি-৭, নূরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭.

© North Bangla News ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।