অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, সময়ঃ ১১:০৮
২০২৪ সালের ২০ জুলাইয়ের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিনের কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছিল সারা দেশ। পরিস্থিতি সামলাতে ২০ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি করে তৎকালীন সরকার।
এদিন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, কারফিউয়ের নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় কাউকে দেখামাত্রই গুলি করা হবে। একই সঙ্গে আন্দোলন দমানোর কৌশল হিসেবে পরবর্তী দুদিন সরকারি ছুটির ঘোষণা আসে।
কারফিউ চলাকালীন সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হন। রাজধানীতে ১৫ জন, ময়মনসিংহে ৪ জন, সাভারে ৪ জন, গাজীপুরে ২ জন, নরসিংদীতে ১ জন নিহত হন। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলার রাজপথ।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা কারফিউ চালিয়ে যাচ্ছি। সেটা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সময় সংবাদকে বলেন, ‘নৃশংস হামলা করার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় অধ্যায় কন্টিনিউ করে তাদের জায়গা থেকে।’
১৬ থেকে ২০ জুলাই, চারদিনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান দেড় শতাধিক মানুষ।
© North Bangla News ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।