মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, সময়ঃ ০৩:৩৭
যুগ যুগ ধরে দিনাজপুরের মাটি বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর ঘাঁটি। উত্তরাঞ্চলের এই সীমান্তবর্তী জেলায় আওয়ামী অপশাসন চাপিয়ে দেওয়ায় মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি দেড় দশক। জুলাই বিপ্লব আবার ভোট উৎসবের দিন ফিরিয়ে আনছে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে দিনাজপুরের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। এখন ভোটারদের সমর্থন কুড়াতে ব্যস্ত নেতারা। বিএনপি নেতারা আছেন মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টায়। দু-একটি আসনে অবস্থান জানান দিতে চাইছে ইসলামী আন্দোলন। তবে এখনো সংগঠিত হতে পারেনি তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলা নিয়ে ছয়টি সংসদীয় আসন গঠিত। সব এলাকায় ভোটের সমীকরণ এক নয়, কোথাও হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের সংখ্যা বেশি। কোথাও ইসলামপন্থি এবং কোথাও জাতীয়তাবাদী। তাদের মধ্যে দলীয় আদর্শগত মতপার্থক্য থাকলেও পরিবর্তিত বাংলাদেশে ব্যালটে সিল মারা নিয়ে নতুন করে ভাবছে কমবেশি সবাই। এবার ভোটের মাঠে তরুণদের সমর্থনের প্রভাব বেশি থাকতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন নিয়ে সচেতন মহল। বালুখেকো, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত, টেন্ডারবাজ ও মাদক কারবারিদের বিষয়ে মানুষ বেশ সচেতন হয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা বলছেন।
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ ও কাহারোল)
জেলার উত্তরে শেষদিকের দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন মূলত জামায়াতের হাতে ছিল। ২০০১ সাল থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করায় এটি বরাবরই ছেড়ে দিয়ে আসছিল বিএনপি। এ ছাড়া পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে ভোটে পার হওয়া জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই ছিলেন জামায়াতের। এবারও আসনটি মুষ্টিবদ্ধ রাখতে চায় দলটি। তাই আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তরুণ নেতাকে। তিনি হলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক ও দিনাজপুর শহর শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মতিউর রহমান।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন। তাদের মধ্যে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আগেও কয়েকবার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এ ছাড়া বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু এবং কাহারোল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী মামুনও মাঠে তৎপরতার পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
শিল্পপতি মঞ্জুরুল বলেন, অনেক আগে থেকেই নানাভাবে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। পাশে থাকছেন নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে। এবার তাকেই দল মনোনয়ন দেবে বলে তার দাবি।
জামায়াত প্রার্থী মতিউর বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার পর নির্বাচনি এলাকায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছি, যাতে জনগণ আমাকে আপন করে নিতে পারে। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছি। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ভোট হলে জয় কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
এ ছাড়া এই আসনে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ও কাহারোল দারুস সালাম দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশাররফ হোসেন মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ)
এই আসনে এখন পর্যন্ত বিএনপির চার নেতা মাঠে রয়েছেন। তারা হলেনÑজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিরল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনম বজলুর রশিদ কালু।
২০১৮ সালে মনোনয়ন পাওয়া সাদিক রিয়াজ এবারও দলের টিকিট পাবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে মোজাহারুল ইসলামও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছেন তিনি। আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। তাই কাছে থাকার চেষ্টা করছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মীর।
এ আসনে জামায়াতের রয়েছে একক প্রার্থী। জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি ও বিরল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বুনিয়াদপুর আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফসালুল আনাম জনগণের রায় পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, এনসিপির নেতা ইসমাইল হোসেন ও খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা জোবায়ের সাঈদও নির্বাচনি মাঠে তৎপর।
দিনাজপুর-৩ (সদর)
খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা এই শহরে। তার বাবা-মাসহ স্বজনদের কবরও রয়েছে এখানে। আসনটির মাটিতে প্রোথিত আছে বিএনপি চেয়ারপারসনের নানা স্মৃতি। ভোটের মাঠেও প্রভাব থাকে এই দলের। জাতীয়তাবাদীদের এই ঘাঁটিতে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপির ছয় নেতা। তারা হলেন—জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও দিনাজপুর পৌরসভার টানা তিনবারের সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, প্রয়াত মন্ত্রী খোরশিদ জাহান হক চকলেটের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (সাময়িক বহিষ্কৃত) বখতিয়ার আহমেদ কচি, জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি হাফিজুর রহমান সরকার।
অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল বলেন, দলের সব কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালন করছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক স্থাপন করেছি। এ কারণে আওয়ামী আমলে মামলা- হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের জন্য দীর্ঘদিন থাকতে হয়েছে জেলে। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল, এবারও টিকিট পাব বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
এই আসনেও জামায়াতের একক প্রার্থী রয়েছে। দলের জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাইনুল আলমের নাম আগেই ঘোষণা করায় প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি জনগণের সমর্থন কুড়ানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ আসনে অন্যদলও প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মুফতি মুহাম্মাদ খাইরুজ্জামান, খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম উল্লেখযোগ্য।
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা)
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার মনোনয়ন চান দলটির দুই নেতা। তারা হলেনÑসাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) মোস্তফিজুর রহমান। উভয়ই নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর রয়েছেন, দলের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, ‘এখানে বিএনপির অন্য প্রার্থীদের কর্মকাণ্ড জনগণ দেখেছেন। তারা এবার নতুন কাউকে প্রার্থী হিসেবে চান। তাই নানা কর্মসূচি নিয়ে সর্বদা মাঠে থাকছি, আগলে রাখার চেষ্টা করছি তৃণমূ্লের নেতাকর্মীদের। এ কারণে কয়েকবার হামলারও শিকার হয়েছি।’
এতদিন বিএনপির আধিপত্য থাকলেও আসনটির ইতিহাস বদলে দিতে চায় জামায়াত। চমক দেখাতে এবার দলের জেলা শাখার সাবেক আমির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন মোল্লাকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন বলে তার বিশ্বাস।
এ ছাড়া এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইমামুর রশিদ, মাঠে তৎপর ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন নদভী।
দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী)
গুরুত্বপূর্ণ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই দুর্গ কবজায় রাখতে এবার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির চার নেতা। তারা হলেনÑপার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হক, পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এসএম জাকারিয়া বাচ্চু, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নওশের ওয়ান এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম। তারা সবাই নানা কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, কামনা করছেন তাদের সমর্থন ও দোয়া।
বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাচ্চু বলেন, ‘অনেক বিএনপি নেতা এতদিন এলাকায় ছিলেন না। এখন তারা মনোনয়ন বাগানোর চেষ্টা করছেন। আর আমি মাঠে থেকে আওয়ামী দুঃশাসন সহ্য করেছি, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নানা সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে ও সামাজিক কাজ করে এলাকার মানুষের হৃদয় জয় করেছি। এবার দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।’
এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য আবু সায়েম মিন্টু, এনসিপির টিকিট পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. আবদুল আহাদ, খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সহসভাপতি লিয়াকত আলী।
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ)
চার উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার বৃহত্তম এ আসনে মূলত রাজত্ব কায়েম করেছে জামায়াত। দলটির নেতারা দুইবার এখানে জয় পেয়েছিলেন। এবার ভোটের সমীকরণ পাল্টে দিতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চিকিৎসক নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যের পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আস্থাভাজন। এখানে হেভিওয়েট নেতা থাকায় দলের অন্য কেউ আবার মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন না। এলাকায় ডা. জাহিদের বেশ জনপ্রিয়তাও রয়েছে।
রাজত্ব ধরে রাখতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা শাখার সাবেক আমির ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম। এবারও তিনি জনসমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
এ আসনে প্রার্থী দিয়েছেন অন্য ইসলামী দলও। তাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা সভাপতি ডা. নুর আলম সিদ্দিক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সহসভাপতি মুফতি নুরুল করিম ও এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক উল্লেখযোগ্য।
দিনাজপুর শহরের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা সোহাগ বলেন, ‘ভোট কতটা সুষ্ঠু হবে জানি না। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভোট হবে এটাই আনন্দের বিষয়। আমরা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেখেছি, এবার বিকল্প কোনো দলকে ভোট দেওয়ার চিন্তা করছি।’
শহরের ঘাষিপাড়া এলাকার আকাশ নামে নতুন ভোটার বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার আগেই কোনো কোনো দলের যে অবস্থা ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে, আল্লাহই ভালো জানেন। তাই নতুন ভোটার হিসেবে আমি নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে চাই।’
শিক্ষাবিদ ও নির্বাচন বিশ্লেষক মকসেদ আলী জানান, সংস্কারের পর নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে এবং পরের নির্বাচনগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সুশীলসমাজের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন কাঠামো বা পদ্ধতি ঠিক করা। এজন্য সবার আগে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় নিকটাত্মীয়ের মতো আবারও ভোটাধিকার বঞ্চিত হবেন জনগণ।
© North Bangla News ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।